ঠাকুমা প্রতিদিন নাতির ১০ দিনের মৃতদেহকে স্নান করতেন, কাপড় বদলাতেন... দুর্গন্ধে রহস্য জানা গেল ; তারপর‌ই ঘটনাস্থলে পুলিশ

 


বারাবাঙ্কি থেকে এক রহস্যজনক ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে ১০ দিন ধরে নাতির লাশ নিয়ে বাড়িতে থাকছিলেন এক দাদি। লাশের দুর্গন্ধ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোক জনের সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়িটি খুলে দিলে তারাও ভেতরের দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যায়।নাতির লাশের কাছে বসে ছিলেন বৃদ্ধা। মৃতদেহের উপর কৃমি পড়ে ছিল এবং তা অনেকাংশে পচে গিয়েছিল। এর থেকেও ভয়ানক গন্ধ বের হচ্ছিল।

 এ দৃশ্য দেখে প্রথমে পুলিশ সদস্যরা বমি করতে শুরু করেন। কিন্তু তদন্ত তো করতেই হলো। তাই সিও বিনু সিং প্রথমে বৃদ্ধ মহিলাকে চিকিৎসার জন্য পাঠান।কারণ প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন ওই মহিলা মানসিকভাবে অসুস্থ। সেই সঙ্গে পুলিশ শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বর্তমানে কিভাবে ছেলেটি মারা গেল।পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে কিছু লোক ফোন করে জানায় যে মোহরিপুরওয়া এলাকায় বসবাসকারী ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ মহিলার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। 

এ বাড়িতে নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশও ওই বাড়িতে পৌঁছায়। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরের দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান।ভিতরে, একজন বয়স্ক মহিলা একটি ১৮ বছর বয়সী ছেলের পচা মৃতদেহকে স্নান করছিলেন। মৃতদেহটি সম্পূর্ণ পচা এবং তা থেকে ভয়ঙ্কর দুর্গন্ধ আসছিল। লোকজন জানান,গত কয়েকদিন ধরে তারা এর গন্ধ পাচ্ছিলেন। তিনি জানান, লাশটি বৃদ্ধা মহিলার নাতি প্রিয়াংশুর। প্রিয়াংশুর বাবা-মা ইতিমধ্যেই মারা গেছেন।

পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এর সঙ্গে ৬৫ বছর বয়সী এক নারীকেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মহিলাটি শুধু বলেছিলেন যে তার নাতি ১০ দিন আগে মারা গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

নবীনতর পূর্বতন